প্রকাশিত: Thu, Mar 23, 2023 7:04 AM
আপডেট: Tue, Apr 29, 2025 11:28 PM

আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে পরিচয়ে বিয়ে

বনানীর ফ্ল্যাটে অনৈতিক ব্যবসা করতো আরাভ ও তার স্ত্রী কেয়া

মাসুদ আলম: পুলিশ পরিদর্শক মামুন এমরান খান হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আপন ওরফে আরাভ খান বনানীর ফ্ল্যাটটিতে যৌন ব্যবসা করতেন। সেখান ব্যবসায়ী ও ভিআইপিদের  ডেকে এনে আপত্তিকর ছবি তুলে ব্ল্যাকমেল করা হতো। তাকে সহযোগিতা করতেন প্রথম স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার ওরফে কেয়া। মামুন রাজধানীর বনানীর যে ফ্ল্যাটে খুন হন, সেখানেই আরাভ তার সহযোগীদের দিয়ে যৌন ব্যবসা চালাতেন আরাভ।  কেয়াও পুলিশ পরিদর্শক হত্যা মামলার আসামি। এ মামলার ৬ আসামি কারাগারে রয়েছে। ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছে আরাভ। তাকে দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়াটি জটিল হবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।  কারণ হিসেবে তারা বলছেন, জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক হলেও আরাভ ভারতীয় পাসপোর্ট ব্যবহার করে দুবাইয়ে অবস্থান করছে। তবে এবিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশ, ভারত ও দুবাই পুলিশ কাজ করছে। 

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আরাভকে ফিরে আনার বিষয়ে কাজ চলছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে পুলিশের একটি টিম দুবাই যাওয়ার কথা রয়েছে। তার  পেছনে কারা রয়েছে সে বিষয়েও তদন্ত চলছে। এছাড়া কেয়ার বিষয়েও তদন্ত চলছে। 

একটি সূত্র জানায়, আরাভ দুবাই ছেড়ে কানাডা বা যুক্তরাষ্ট্রে পারি জমিয়েছে। তবে তাকে পুলিশ নজরদারিতে রেখেছে। তার ভারতীয় পাসপোর্টও বাতিল হয়েছে বলে জানা গেছে। 

কেয়ার মামা কামরুজ্জামান বলেন, আরাভ খানের প্রথম স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার কেয়ার বাড়ি মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার গাড়াডোব গ্রামে। আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে পরিচয়ে  কেয়াকে বিয়ে করেছিলেন। দীর্ঘ কয়েক বছর  জেল খেটে ২০২২ সালে জামিনে মুক্তি পায় কেয়া। এরপর আরাভকে তালাক দিয়ে সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামের শাহিন নামের এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে করে মালয়েশিয়ায় চলে যায়। বর্তমানে সেখানে আছেন কেয়া। আবার আমার শখের মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে গেছে। 

কেয়ার বাবা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২০১৩ সালে এসএসসি পাস করেন কেয়া। তার মা তাকে আমার  অমতে ঢাকার একটি ম্যাটস কলেজে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসা বিদ্যায় ডিপ্লোমা করতেন। তারপর থেকেই মেয়ের সঙ্গে আর কোন যোগাযোগ নেই । সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব